সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে ব্যাটে বলে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ দেখা গেল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লড়াই করেছে বাংলাদেশ দলের লোয়ার অর্ডার। তবে সেটা কেবল হারে ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ ম্যাচেও হেরে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেলো টাইগ্রেসরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীত কৌরের দল।
এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সফরকারীরা জয় পায় ২২ রানে।
ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিকদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে মাঠে নামেন সোবহানা মোস্তারী ও দিলারা আক্তার। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন সোবহানা। এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই কাল হয় এই ব্যাটারের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সোবহানাকে সাজঘরে পাঠান রাধা যাদব। আউট হওয়ার আগে ১৩ রান করেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন ঝিলিক। আশা দেখান তিনি। কিন্তু রাধার ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে (এলবিডব্লিউ) মাত্র ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেন ঝিলিক। ব্যাট হাতে আজ জ্বলে উঠতে পারেননি টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৭ রানে তাকে থামিয়ে দেন রাধা।
টপ অর্ডার ব্যাটারদের হারিয়ে বাংলাদেশ যখন বড় ব্যবধানে হারতে বসেছিল তখন ব্যাট হাতে লড়াই শুরু করেন রিতু মনি। তার ব্যাটে দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আশা সোবহানার বলে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত শরিফা খাতুন রাবেয়া খানের দুর্দান্ত ব্যাটিং স্রেফ হারের ব্যবধান কমিয়েছে। তার দুজন অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ২৮ ও ১৪ রানে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রাধা যাদব। এছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন আশা সোবহানা।
এর আগে টস জিতে ভারতের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। ইনিংসের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন তারা দুজন। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই শেফালির উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন সুলতানা। তার ঘূর্ণিতে শেফালিকে তালুবন্দী করেছেন ফারিহা তৃষ্ণা। এতে নিজের শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করার আগেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
পরে ক্রিজে আসেন দয়ালান হেমালতা। তার সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন স্মৃতি মান্ধানা। তবে ৩৩ রানে স্মৃতি সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। এরপর বাইশ গজে আসেন ভারতীয় দলপতি হারমানপ্রীত। উড়তে থাকা এ ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন নাহিদা। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩০ করেন তিনি।
উইকেটে এসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাজানা (১)। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রিচা ঘোষ। ১৭ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এতে ভারতের ইনিংস থামে ১৫৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। এছাড়া একটি উইকেট নেন সুলতানা খাতুন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :