আবেগী মিডফিল্ডার ইকুয়েডরের মোয়েসেস কাইসেডোকো দলে ফেরানোর চেষ্টার করছে চেলসি। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বস মরিসিও পোচেত্তিনো আশা করছেন কাইসেডো যেন মানসিক ভাবে পুরোপুরি চাঙ্গা হয়েই মাঠে ফিরতে পারেন।
আগস্টে ব্রাইটন থেকে ব্রিটিশ রেকর্ড ১১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কাইসেডোকে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। কিন্তু ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ইকুয়েডরের হয়ে খেলতে প্রায়ই ১১ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় যান, যে কারনে প্রিমিয়ার লিগে তার খেলার সময়ও সীমিত হয়ে গেছে। পোচেত্তিনো ও তার কোচিং স্টাফ তাকে খুব একটা কাছে পায়নি। ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই লাল কার্ড হজম করতে হয়েছিল তাকে। পোচেত্তিনো অধীনে নিয়মিত একাদশে সুযোগ পেলেও এখনো ব্রাইটনের দুর্দান্ত ফর্মটা নতুন ক্লাবে ফিরে পাননি।
এ সপ্তাহে চেলসির ওয়েবসাইটে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাইসেডো জানিয়েছেন ২০২১ সালে ইকুয়েডরের ইনডিপেনডিয়েন্টে ডেল ভ্যালে থেকে ব্রাইটনে যোগ দেবার পর নিজের হোটেল রুমে প্রথম ১০দিন প্রচন্ডভাবে একাকীত্ব বোধ করেছেন, এসময় বাড়ির কথা মনে করে তিনি কান্নাকাটিও করেছেন। প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের সাম্প্রতিক উত্থানে কাইসেডো অন্যতম মূল ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে এ বছরের শুরুতে লিভারপুল ও চেলসির মধ্যকার লড়াইয়ে বøুজদের এগিয়ে যাবার পিছনে কাইসেডোর অবদান ছিল।
পোচেত্তিনো বলেন, ‘আমরা যখন তাকে দলে নিলাম তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম কি হতে যাচ্ছে। সে একজন আবেগী ছেলে, সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে তাকে সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় তাকে বারবার যেতে হচ্ছে, এই বিষয়টিও তাকে সহযোগিতা করছে না। প্রতি মাসে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর ১০-১২ দিনের জন্য ক্লাবের বাইরে থাকা একজন খেলোয়াড়ের জন্য কঠিন। এরপর ইনজুরির বিষয়টি তো রয়েছেই। এসব কোন অযুহাত নয়, কিন্তু সবই বাস্তবতা। এই পরিস্থিতিতে তার প্রতি আমাদের সহযোগিতা থাকতে হবে, তাকে পর্যবেক্ষনের বিষয়টি যাতে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়।’
চেলসিতে থিতু হবার বিষয়টিতে সহযোগিতা করার জন্য পোচেত্তিনো এ সপ্তাহে তারকা এই মিডফিল্ডারের সাথে একান্তে দেখা করেছেন। ইকুয়েডরের ব্যস্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সূচীর কারনে চেলসিতে কিছুটা প্রভাব তো পড়েছেই। কিন্তু এ ব্যপারে কাইসেডোকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন পোচেত্তিনো।
এ সম্পর্কে পোচেত্তিনো বলেন, ‘আজকের সংবাদ সম্মেলনের আগে ২০ মিনিটের জন্য সে আমার অফিসে এসেছিল। তার সাথে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলায় বিষয়টি সহজ হয়েছে। বিষয়টি কিছুটা জটিল। সময়ই সবকিছু ঠিক করে দিবে। সে আমাদের সাথে প্রাক-মৌসুমে ছিলনা। আমরা সবসময়ই ফুটবলারদের শারিরীক ও মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করি। আর যেখানে প্রতিভা থাকে তাদের দিকে বাড়তি নজড়তো থাকেই। প্রতিভা দেখাতে হলে মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। নাহলে ভাল কোন কিছু করা সম্ভব নয়।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :