AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এশিয়ান গেমসে ভারতের রেকর্ড, পুরণ হল মোদীর স্বপ্ন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:১২ পিএম, ৭ অক্টোবর, ২০২৩
এশিয়ান গেমসে ভারতের রেকর্ড, পুরণ হল মোদীর স্বপ্ন

১৯৫১ সালে শুরু হয়েছিল এশিয়ান গেমস। এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার অন্যতম কারিগর ভারত। প্রথম প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল নয়া দিল্লিতে। সে বার ভারত পেয়েছিল ৫১টি পদক। তার পর থেকে সর্বমোট পদকের সংখ্যা ৫০-ও ছুঁতে পারেনি। ৩১ বছর পর আবার দিল্লিতে এশিয়াডের আসর বসে। সে বার ৫৭টি পদক পায় ভারত। আবার কয়েক বছরের খরা। ২০০৬ দোহা গেমসে ৫৩টি পদক জেতে তারা। সেই শুরু। তার পর থেকে কখনও ৫০-এর নীচে নামেনি পদকসংখ্যা।

এশিয়ান গেমস শুরুর অনেক আগে থেকেই সম্প্রচারকারী চ্যানেলের পক্ষে প্রচার প্রচার করা হয়েছিল, যার স্লোগান ছিল, এবার ১০০ পদকের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ভারত। সেই প্রচার অবশেষে প্রাণ পেল শনিবার। এশিয়ান গেমসে সত্যি সত্যিই ১০০ পদক পেরিয়ে গেল ভারত। এটি সর্বকালরে রেকর্ডও। ভারত রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণ পদকেও।

ক্রীড়া বোদ্ধারা বলছেন, এই রেকর্ডের  পেছনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ভূমিকা রয়েছে।  ভারতকে খেলাধুলারদেশ হিসাবে প্রমাণ করতে মরিয়া খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই প্রচারের শুরুটা হয়েছিল এশিয়ান গেমস থেকেই। সেখানেই অভূতপূর্ব সাফল্য মিলল। আগের মোট পদকের থেকে ৩০টিরও বেশি পদক জিতে এশিয়াডে ‘সেঞ্চুরি’ করে ফেলল ভারত।

মোদী অবশ্য প্রচার আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন। ৭০টি পদক পেরোনোর পরেই তিনি টুইট করে ১০০ পদকের স্বপ্ন উস্কে দেন। ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা হতাশ করেননি।

খেলোয়াড়রা তো বটেই, এই প্রচারে এগিয়ে এসেছিলেন রাজনীতিবিদ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তারাও। ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রচারে তো ছিলেনই। তার সঙ্গে জেনারেল অনিল চৌহান (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ), জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (চিফ অফ আর্মি স্টাফ), অ্যাডমিনাল রাধাকৃষ্ণণ হরি কুমার (চিফ অফ নাভাল স্টাফ) এবং এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধরি। এ ছাড়াও প্রচারে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, হেমা মালিনী, মাধুরী দীক্ষিত, অভিষেক বচ্চন, কপিল শর্মার মতো অভিনেতারা। শিক্ষাবিদ এবং লেখক সুধা মূর্তিকেও প্রচার করতে দেখা যায়। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে মীরাবাই চানু, জাহির খান, অঞ্জু ববি জর্জ, রাজা রণধীর সিংহ এবং আরও অনেকে ছিলেন।

জাকার্তার পদকসংখ্যা টপকে যেতেই শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী। গত বুধবার সকালে তিরন্দাজিতে সোনা জেতার সঙ্গেই ভারতের পদকসংখ্যা হয়ে যায় ৭১। তার পরেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মোদী লেখেন, ‘এশিয়ান গেমসে ভারত এ বারই সব থেকে বেশি উজ্জ্বল। ৭১ পদক আমাদের সব থেকে ভাল ফল। ভারতীয় অ্যাথলিটদের দায়বদ্ধতা, পরিশ্রম ও খেলোয়াড়ি মানসিকতার ফল পাচ্ছি। প্রতিটা পদকের নেপথ্যে রয়েছে এক কঠিন লড়াইয়ের গল্প। দেশের কাছে এক গর্বের মুহূর্ত। প্রত্যেক অ্যাথলিটকে শুভেচ্ছা।’

বস্তুত, অনেকেই মনে করছেন, মোদীর অনুপ্রেরণাতেই নাকি এশিয়াতে খেলাধুলোয় নিজেদের শক্তিপ্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা। ভারতকে খেলাধুলোর দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে মোদী মরিয়া। গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় বাজেটে খেলাধুলোয় বরাদ্দ বাড়ছে। বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে সেখানে ক্রীড়াবিদদের যুক্ত করা হচ্ছে। যেমন টার্গেট অলিম্পিক্স পোডিয়াম স্কিম (টপ্‌স)। সেটাই এখন কাজে দিচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার


একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!