AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আর মাত্র ৬ দিন পর কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে


Ekushey Sangbad
A Ziadur Rahaman Zihad (এ জিহাদুর রহমান জিহাদ)
০৪:৫৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
আর মাত্র ৬ দিন পর কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে

আর মাত্র ৬ দিন পর কাতারে পর্দা উঠবে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। যেখানে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ৩২টি দল। ৯২ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের। ফুটবল মানেই গোল আর বলের খেলা। তাই গোলের পাশাপাশি দর্শকদের নজর থাকে বলের দিকেও।

 

সময়ের বিবর্তনে অন্যান্য কিছুর মতো বলেও পরিবর্তন এসেছে। পায়ে পায়ে বদলে গেছে গোল বলের গতি। বদলেছে গঠন, রং আর ডিজাইন। কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কালের পরিক্রমায় বিবর্তিত হওয়া বল নিয়ে থাকছে একটি প্রতিবেদন।

 

১৯৩০ থেকে ১৯৬৬। বিশ্বকাপের বল সরবরাহ করতো স্বাগতিক দেশ। ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে টি-মডেল, ইতালিতে ১৯৩৪ বিশ্বকাপে ফেদেরালে-১০২, ১৯৩৮ সালে ফ্রান্সে অ্যালেন বল দিয়ে খেলা হয়। তবে ঐ বল গুলো ছিল চামড়ার তৈরি বেশ ভারি আর পুরোপুরি গোলাকার নয় এমন। 

 

ব্রাজিলে ১৯৫০ সালের আসর থেকে পুরোপুরি চামড়ার বল ব্যবহার করা হয়। তার নাম ছিল দুপলো-টি মানে জোড়া দেয়া চামড়ার বল। প্রথম দিকের বলগুলোতে ছিলো ১২ অথবা ১৩টি প্যানেল। ১৯৫৪ সালের সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম ব্যবহার করা হয় ১৮ প্যানেলের বল। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডে সুইস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন দিয়ে খেলা হয়। 

 

সুইডেনে হওয়া ১৯৫৮ বিশ্বকাপের বলের নাম টপ স্টার। চিলিতে ১৯৬২ আসরের বলের নাম ক্র্যাক। আর ১৯৬৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বলের নাম ছিল স্লাজেঙ্গার চ্যালেঞ্জ। এরপই দৃশ্যপটে আসে এডিডাস। ১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে এডিডাস পরিচয় করিয়ে দেয় টেলস্টার বলের সঙ্গে। 

 

যেটিতে প্রথমবারের মতো সাদা ও কালো রংয়ের মিশ্রণ ছিল। বলটির সেই ডিজাইন ফুটবল ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে আছে। জার্মানিতে ১৯৭৪ সালের আসরেও একই ডিজাইনের বল ব্যবহার করা হয়। যার নাম ছিল টেলস্টার ড্যুরলাস্ট। আর্জেন্টিনায় হওয়া ১৯৭৮ বিশ্বকাপ খেলা হয়েছে ট্যাঙ্গো বল দিয়ে। 

 

সেটি ছিল শেষবারের মতো চামড়ার বলের বিশ্বকাপ। স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ আসরে খেলা হয় এসপানা ট্যাঙ্গো বল দিয়ে। মেক্সিকোতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের বল ছিল অ্যাজটেকা। ইতালির এতরাস্কেম সভ্যতাকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপের বলের নাম রাখা হয় এতরাস্কো ইউনিকো। যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ১৯৯৪ বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কোয়েস্ত্রা। 

 

১৯৯৮ সালের ফ্রান্স আসরে প্রথমবারের মতো বলে দেখা যায় তিন রংয়ের সমাহার। যার নাম দেয়া হয় ট্রাইকালার। ফিবারনোভা ২০০২ সালে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের বল। জার্মানিতে ২০০৬ আসরের বল টিমগাইস্ট। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাবুলানি আর ২০১৪ সালে ব্রাজিলে খেলা হয় ব্রাজুকা দিয়ে। সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনা হয় ১৯৭০ সালের টেলস্টারকে। 

 

ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে বলের নাম দেয়া হয় টেলস্টার-১৮। ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপের বল আল রিহলা। যার বাংলা অর্থ যাত্রা। এই বলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাতাসে সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন। পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ বল। বলটি উন্মোচন করার পর এডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর লিওনেল মেসিকে দিয়ে এর ফটোশুট করা হয়েছে। 

 

এছাড়া ফটোশুটে অংশ নেন হুন মিন সংসহ কাকা ও ক্যাসিয়াসের মতো এডিডাসের আরো কয়েকজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। বিশ্বকাপ ও অ্যাডিডাসের লোগো ছাড়াও এই বলে আছে নীল, হলুদ, কমলা ও লাল রংয়ের মিশ্র ডিজাইন। বর্তমানে বিশ্বের যেসব দেশে এডিডাসের অফিসিয়াল আউটলেট রয়েছে সেখানেই পাওয়া যাচ্ছে আল রিহলা বল। 

 

একুশে সংবাদ/এসএস

Link copied!