মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন অনেক কুয়েতপ্রবাসী বাংলাদেশি। সেখানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। তাদের দেশে যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য বাহন হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
কিন্তু ফ্লাইটের স্বল্পতায় কুয়েত থেকে ঢাকা আসতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশিরা। গত বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত আড়াই মাসে কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছিল মাত্র তিনটি। ওই সময় ঈদের ছুটিতে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় থাকা অনেক প্রবাসী সমস্যায় পড়েছিলেন। এবছরও একই ধরনের সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ১৪টি করে এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। তবে কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স তাদের তিনটি করে ফ্লাইট কমিয়ে দেয়। ফলে যাত্রীদের অধিক খরচে বিকল্প এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশিদের জন্য পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন চড়া দামে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনতে। অনেকেই ঈদের ছুটিতে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করছেন। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে কুয়েতের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বেড়েছে প্রবাসীদের দুর্ভোগ।
কুয়েতে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, মে-জুন মাসে দুই ঈদকে ঘিরে দেশে যেতে প্রবাসীদের চাপ বেশি থাকে। কম দাম, ব্যাগেজ সুবিধা এবং সার্ভিস ভালো হওয়ায় কুয়েত-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বর্তমানে পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশ বিমানের টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি খরচে অন্য দেশের বিমানে ভ্রমণ করছেন প্রবাসীরা। এতে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের দাবি, কুয়েত-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হোক।
একুশে সংবাদ / কু.প্র/এ.জে