অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে ইসলামী দলগুলো। রোববার (২৫ মে) রাতে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুই দফায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন, যার দ্বিতীয় দফায় অংশ নেয় ইসলামপন্থী দলগুলো।
খেলাফত মজলিসের বার্তা:
দলের আমীর মামুনুল হক বৈঠক শেষে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে চান। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের পর এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় থাকবেন না। তার আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।”
তিনি আরও জানান, তারা শাপলা চত্বর, জুলাই বিপ্লব, নারী সংস্কার কমিশন এবং বিচারব্যবস্থার সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন, এবং উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন যে এ বিষয়ে ন্যায়বিচার হবে।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম:
মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী জানান, “আমরা উপদেষ্টাকে বলেছি, সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে এগিয়ে যান। ধৈর্য হারাবেন না, আমরা পাশে আছি।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ:
আমির মুফতি রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) বলেন, “ড. ইউনূসের ওপর মানসিক চাপ ও নির্যাতন চলছে, তা আমরা বুঝি। তাকে স্পষ্ট বলেছি—আপনি যদি হেরে যান, আমরাও হেরে যাব। মাঝপথে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়াটা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।”
হেফাজতে ইসলাম:
মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, “আমরা বলেছি, বিপদের সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন বাংলাদেশে পাস হতে দেওয়া যাবে না—এই বার্তা উপদেষ্টাকে দিয়েছি।”
গণঅধিকার পরিষদ:
সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছি। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা, বন্দরসহ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছি।”
সার্বিকভাবে, ইসলামী দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকারে আস্থাশীল হলেও তারা সতর্ক করে দিয়েছেন—উপদেষ্টা যেন দায়িত্ব থেকে পিছু না হটেন এবং রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার না করেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে