বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সংলাপের কথা অনেকে বলছে। কার সাথে সংলাপ? খুনিদের সাথে কিসের সংলাপ? খুনিদের সাথে আমরা কেন সংলাপ করবো?
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের `আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪` করণীয় শীর্ষক কার্যনির্বাহী সভায় এসব বলেন তিনি।
সভায় শেখ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
সভাপতির বক্তব্যে পরশ বলেন, প্রথমে আমি সাধুবাদ জানাই নির্বাচন কমিশনকে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য। আমি মনে করি এই ঘোষণা শুধু একটা সঠিক সিদ্ধান্ত না, একটা সঠিক সিদ্ধান্ত না, একটা সাহসী সিদ্ধান্তও বটে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছেন বলে তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যুবলীগের কর্মীরা প্রতিযোগিতা ভয় পায় না, শর্টকাট ক্ষমতার পথ শেখ হাসিনা খুঁজে নাই কোন দিন। একটা প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসবে। তিনি আরও বলেন, সংলাপের কথা অনেকে বলছে। কার সাথে সংলাপ? খুনিদের সাথে কিসের সংলাপ? খুনিদের সাথে আমরা কেন সংলাপ করবো?
তিনি বলেন, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তাদের সাথে আবার কিসের সংলাপ? যারা ১৫ই আগস্ট, ৩রা নভেম্বর, ২১শে আগস্ট করে ক্ষান্ত হয় নাই এখনো আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে যাচ্ছে, তাদের সাথে কোন যুক্তিতে ঐ সকল সমাজের বিবেকরা আমাদের সংলাপ করতে বলে?
তিনি বলেন, বিএনপির সৃষ্টি প্রক্রিয়া ও পন্থা দুটোই অবৈধ ছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সেই হত্যা-ক্যুর মাধ্যমে মিলিটারি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে বিএনপি সংগঠন করেছিলেন। তাই বাংলার যুবসমাজ বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক দাবি।
শেখ পরশ বলেন, আগামী নির্বাচনে নেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার আবারও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে আমাদের ২টি কাজ করা একান্ত প্রয়োজন। প্রতিটা মুহূর্তে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখতে হবে এবং নিঃশর্ত ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্য আমাদের সর্বাধিক দরকার।
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি সমবেদনা জানাই যে তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়েছে ২৮ অক্টোবর। হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে এবং অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে কারণে এদেরকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজকের কার্যনির্বাহীর প্রথম সভা। এটার গুরুত্ব আছে। সামনে নির্বাচন এবং বিএনপি-জামাতের তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে। সব মিলিয়ে এই সভার গুরুত্ব আছে। বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করা এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা এবং নৌকার ভোট বৃদ্ধি করতে যা যা করণীয় তা করতে হবে।
তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সামনে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। যাকে নৌকা দিবে যুবলীগ তার পক্ষে কাজ করবে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :