আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারাদেশ থেকে আবারও ঢাকামুখী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে এখন ব্লকেড চলছে। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’-র মতো কর্মসূচিতে অংশ নেবে।”
নাহিদ ইসলাম তাঁর পোস্টে আওয়ামী লীগকে একটি “ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী ও মানবতা বিরোধী এই সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশপন্থি সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা `মার্চ টু ঢাকা` কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন ঘটেছিল। এখন সেই প্রেক্ষাপটেই একটি সিদ্ধান্ত জরুরি।”
৮ মে রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেয়। পরদিন শুক্রবার দুপুরেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিকেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শুরু হয় ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি।
আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন, যার মধ্যে ছিল— “লীগ ধর, জেলে ভর”, “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা”, এবং “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো”।
বর্তমানে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে ক্রমেই একটি প্রতীকী রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে, যা দ্রুত সমাধানের দাবি তুলছে।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :