AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পাকিস্তান বাংলাদেশকে অনুকরণ করে: তথ্যমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম
১০:২৯ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
পাকিস্তান বাংলাদেশকে অনুকরণ করে: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে, তেমনি আমাদের নেতাকর্মীদের একটা গুণ হল খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে। তারা (বিএনপি) আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে উঠেছি, রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।

 

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, এজন্য অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাব, সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। কাউকে দেশে বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।

 

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু পাকিস্তানে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুকরণ করে না, তারা এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারা নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন। আর নির্বাচন হবে কমিশনের অধীনে।

 

বিএনপির চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে, এর মূল উদ্দেশ্য দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং তার জোট ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর সরকারকে বিদায় করে দেবে। আবার ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখের পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ চলবে। তারা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। তারা যাতে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য আমরা বললাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না গেলেও বাণিজ্য মেলার মাঠ কিংবা বিশ্ব ইজতেমার মাঠে যান। ওনারা বললেন, নয়াপল্টনের অফিসের সামনে সমাবেশ করবেন। কোনোভাবেই নয়াপল্টন থেকে সরবে না। শেষ পর্যন্ত গরুর হাটের মাঠে সমাবেশ করলো। আর তাদের অফিসে পাওয়া গেল তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, কয়েক টন চাল। তার মানে, তাদের পরিকল্পনা ছিল ঢাকা শহরে বোমাবাজি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ঢাকা শহরে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা ঢাকা শহর জুড়ে সতর্ক পাহারায় ছিলাম। তারা যে মাঠে সমাবেশ করলো সেখানে মানুষ ধরে ২৫ হাজার। আশপাশের জায়গাসহ ধরে নিলাম ৪৫ হাজার মানুষের একটি সমাবেশ করলেন। ফেসবুকে মানুষে বলে, ঘোড়ায় তিনটা ডিম পেড়েছে। আবার ঘোড়ার ওপর লিখে দিয়েছে ১০ তারিখ বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছিল।

 

আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এরপর বিএনপি দিল হাঁটা কর্মসূচি, পদযাত্রা। মানুষ বলে বিএনপির মনে হয় দম ফুরিয়ে গেছে। এজন্য এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করছে। অনেকে বলছে, বিএনপি ভবিষ্যতে হামাগুড়ি দেয়া শুরু করবে।

 

বিএনপি এখন একটু লাইনে এসেছে উল্লেখ করে বলেন, জেলে যাবার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেবরা বক্তৃতা করেছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে কোমর ভেঙে পড়ে গেছে। এখন তারা বলছেন, আমরা কাউকে আর ধাক্কা দিতে চাই না। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে চাই।

 

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যে ব্যবস্থা তাদের ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করবে। সেই ধরনের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশে হবে অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৮ সালে প্রশংসিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি পূর্ণ শক্তি দিয়ে আসন পেয়েছিল ২৯টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম, তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে তারা আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি। তাই তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও কোনো সম্ভাবনা নাই। তাই তারা এখন নানা বাহানা করছে।

 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

 

সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!