জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) মহাপরিচালক ড. কু দোংইউ বাংলাদেশকে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ শিল্প ও ফল রপ্তানি সম্প্রসারণে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এফএও সদর দপ্তরে রোমে সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও সংস্থার ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি।
বৈঠকে ড. কু বাংলাদেশকে ‘উচ্চ সাফল্য অর্জনকারী দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সংস্থাটি প্রযুক্তিগত সহায়তা, উদ্ভাবন এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাহায্য অব্যাহত রাখবে।
ড. ইউনূস এফএও’র দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনটি নতুন ক্ষেত্রে সহায়তার দাবি জানান—
গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি,
ফল রপ্তানি সম্প্রসারণে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ উন্নয়ন,
ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা জোরদার, যার মধ্যে সাশ্রয়ী ও বহনযোগ্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন অন্তর্ভুক্ত।
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের সমুদ্র রয়েছে, কিন্তু আমরা মাছ ধরি অগভীর জলে। বিদেশি ট্রলারগুলো আমাদের জলসীমায় মাছ ধরে, অথচ আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুত নই।”
এর জবাবে ড. কু দোংইউ বাংলাদেশকে চীনের বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গভীর সমুদ্রের মাছের মজুদ নিরূপণ ও টেকসই আহরণ কৌশল প্রণয়নে সহায়তার পরামর্শ দেন।
ফল রপ্তানির সম্ভাবনার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, চীন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি ছোট কৃষকদের ফসল ক্ষতি কমাতে মোবাইল কোল্ড স্টোরেজ নকশার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ড. কু দোংইউ আরও বলেন, “উচ্চমূল্যের নগদ ফল উৎপাদন কৃষি খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮০-এর দশকে জাপানে ফল রপ্তানির মাধ্যমে চীন কৃষি উন্নয়নে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছিল।”
একুশে সংবাদ/ আ.ট/ সাএ