ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন নিজেকে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হিসেবে অভিহিত করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচনে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য যে মারকার পেন ব্যবহার করা হয়, তা অস্থায়ী হওয়ায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ব্যালট পেপার কোন প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী সময়ে যে অসঙ্গতি ঘটেছে, তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লিখিত আবেদন উপেক্ষা করছে।
নির্বাচনের চার দিন পর জানানো হয়েছে যে পোলিং এজেন্টদের বাছাই প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ ছিল এবং আইডি কার্ড যথাসময়ে দেওয়া হয়নি। পোলিং এজেন্টদের অনুপস্থিতিতে ভোট নেওয়া হয়েছে।
আবিদ জানান, ভোটগ্রহণের দিন নিজেই মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছেন। এছাড়া, তিনি নির্বাচনে ৫,৭০৮ ভোট পেয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানকে হার মানিয়েছেন।
নির্বাচনের পর ফেসবুকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে আবিদ লিখেছেন, “সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন এবং রাজপথে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন।
এ ঘটনার মাধ্যমে আবিদ মূলত ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতা, পোলিং প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক দায়িত্বশীলতা বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে