বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অভিজ্ঞ মার্কিন কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের সদস্য ও ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ক্রিস্টেনসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এ ঘোষণায় আরও কয়েকটি কূটনৈতিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বর্তমান মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত এবং সের্গেই গোরকে ভারতের রাষ্ট্রদূত পদে মনোনীত করা হয়েছে। মনোনয়নগুলো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন মার্কিন সিনেটে পাঠানো হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ক্রিস্টেনসেন ঢাকায় আগে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে কর্মজীবনের শুরুতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিষয়ক কার্যালয়ে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসার হিসেবেও কাজ করেছিলেন।
তার দীর্ঘ কূটনৈতিক জীবনে ক্রিস্টেনসেন নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— স্টেট ডিপার্টমেন্টের পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬-২০১৯), মার্কিন কংগ্রেসের হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক উপকমিটিতে পিয়ারসন ফেলো (২০১৫-২০১৬), উত্তর কোরিয়া নীতি বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী, ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সাইবার কো-অর্ডিনেটর এবং বিভিন্ন দূতাবাসে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব।
তিনি ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিসহ একাধিক স্থানে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় সর্বশেষ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে দায়িত্ব শেষ করেন। এরপর থেকে কয়েকজন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে এ দায়িত্বে আছেন লিসা জ্যাকবসন, যিনি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পদে কাজ করছেন।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে