প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলো পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত কমিটি প্রথম বৈঠকে বসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে সচিবালয়ের ১ নম্বর নতুন ভবনের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরের ছোট কনফারেন্স রুমে এই বৈঠক শুরু হয়।
সভায় তিনজন উপদেষ্টা এবং প্রকৌশলী সংগঠনের দুই প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তবে দুজন সদস্য অংশ নিতে পারেননি। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে বৈঠকে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
অসুস্থতার কারণে বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর অনুপস্থিত ছিলেন। বিদেশে অবস্থানের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও বৈঠকে থাকতে পারেননি।
এর আগে, তিন দফা দাবিতে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চালান। বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
গত বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আট সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি
১) নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে নিয়োগ পরীক্ষায় কেবল বিএসসি ডিগ্রিধারীরাই অংশ নিতে পারবেন; কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি বা সমমানের পদ সৃষ্টি করা যাবে না।
২) দশম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৩) বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছয় মাস ধরে দাবি জানানো সত্ত্বেও সরকার ব্যবস্থা নেয়নি, বরং অবহেলা করায় তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে