অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, দেশে ফের এক-এগারোর মতো পরিস্থিতির পূর্বাভাস মিলছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) স্বৈরাচারী সরকারের পতনের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘিরে রাজধানীতে নানা আয়োজনে মুখর পরিবেশ। এর মাঝেই মাহফুজ আলম ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন দুটি স্ট্যাটাস, যার একটি ছিল “১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!” — সময় ছিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট।
এর ১৫ মিনিট পরই আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “জুলাই আমাদের সবার।”
তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “আদর্শিক পার্থক্য বা দলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, জুলাই অভ্যুত্থানে সকল পক্ষের অবদান স্বীকার করা জরুরি। এটি কোনো একক গোষ্ঠীর অর্জন নয়।”
তিনি উল্লেখ করেন: শিবির সাংগঠনিক সমন্বয় ও ‘জনবল’ দিয়ে অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
ছাত্রদল ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
ছাত্রশক্তি মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বলয়েও আস্থা সৃষ্টি করেছে।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলো বয়ান ও ময়দানে টিকে থেকে সাহস জুগিয়েছে।
আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় রাজপথে সক্রিয় ছিলেন—যাত্রাবাড়ী তার বড় প্রমাণ।
শ্রমজীবী শ্রেণি, প্রাইভেট শিক্ষার্থী ও রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
নারীরা রাজপথে লড়াই করেছেন, আহতদের সেবা দিয়েছেন, এবং মা-বোনেরা কারফিউর সময় সাহস দিয়েছেন।
স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়ে অভ্যুত্থান এগিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো নীরবে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
ছাত্রলীগের একাংশ বিদ্রোহ করে আন্দোলনে যুক্ত হয়।
উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণি আন্দোলনের শেষদিকে সক্রিয় হয়।
পেশাজীবী সংগঠন ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা জুলাইয়ের শেষদিকে সমর্থন জানায়।
প্রবাসী শ্রমিক ও পেশাজীবীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার ও র্যাপাররা জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
শেষে মাহফুজ আলম প্রশ্ন রাখেন, “জনগণের এই লড়াইয়ে কে কী ভূমিকা রেখেছেন, তা অস্বীকার করার অধিকার কার?”
একুশে সংবাদ/এন.ট/এ.জে