মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের ২১ সদস্যের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এই বিদেশি চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বর্তমানে তারা ঢাকায় অবস্থান করে দুর্ঘটনায় আহতদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই চিকিৎসক দল শুধু তাদের দক্ষতা নয়, মানবিক মূল্যবোধও নিয়ে এসেছে। দ্রুত সাড়া, আন্তরিকতা এবং নিবেদিত সহায়তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাদের উপস্থিতি আমাদের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় মানবিক বন্ধনের শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, সংকটময় পরিস্থিতিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে শিশুরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, সেখানে এই যৌথ উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিদেশি চিকিৎসকদের আগমন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এই চিকিৎসা কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে—যেমন ভার্চুয়াল চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিনিময় এবং গবেষণায় যৌথ উদ্যোগের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, “এই সহযোগিতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য ও জরুরি সেবায় টেকসই অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।”
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, “এই চিকিৎসক দল যদি এত দ্রুত সাড়া না দিত, তাহলে আরও বেশি প্রাণহানির আশঙ্কা থাকত।”
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “আবারও প্রমাণ হলো—চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোনও জাতিগত সীমারেখা নেই।”
সাক্ষাতে সিঙ্গাপুরের ১০ জন, চীনের ৮ জন ও ভারতের ৩ জন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সিঙ্গাপুর মিশনের প্রধান।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

