চট্টগ্রাম বন্দর দেশের একটি অমূল্য সম্পদ উল্লেখ করে এটিকে ঘিরে প্রোপাগান্ডা না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর আমাদেরই থাকবে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার না চালিয়ে দেশের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রসর হতে চাই।”
এ সময় আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন তিনি।
বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুজব প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “কোনো অপারেটর নিয়োগ দেওয়া মানেই পরিচালনা হস্তান্তর নয়। পরিচালনা রয়ে গেছে আমাদের হাতেই। কেবল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পুরোনো অপারেটরের পরিবর্তে নতুন অপারেটর আনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেকোনো আন্তর্জাতিক মানের পোর্টে আন্তর্জাতিক অপারেটর যুক্ত থাকে। আমাদেরও দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।”
এনসিটির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা ইন্টারিম পিরিয়ডের জন্য এনসিটি ড্রাইডককে দিয়েছি, যাদের সঙ্গে নৌবাহিনী রয়েছে। এতে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক অগ্রগতি।”
চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা একক সিদ্ধান্ত ছিল না। আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা, স্টেকহোল্ডারদের মতামত এবং আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোর ট্যারিফ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো আমাদের ট্যারিফ মোংলার চেয়েও কম।”
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা চাই চট্টগ্রাম বন্দর আরও দক্ষ হোক, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করুক। সে লক্ষ্যেই সব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি সবাইকে দেশের স্বার্থে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানান এবং বন্দরকে ঘিরে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেন।
একুশে সংবাদ//র.ন