AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান জারি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৪০ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান জারি

সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ বা অন্যকে আন্দোলনে প্ররোচিত করার মতো কার্যকলাপে যুক্ত হলে বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

বুধবার (২৩ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। এটি সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ৩৭(ক) ধারার সংশোধন করে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী নিজে কাজ থেকে বিরত থাকলে বা অন্য সহকর্মীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে, তা সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে

নিচের যে কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে:

  • নিম্নপদে অবনমন,

  • বাধ্যতামূলক অবসর,

  • চাকরি থেকে বরখাস্ত

যদিও অধ্যাদেশে ‘আন্দোলন’ শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে আইনজীবীরা বলছেন, উপস্থাপিত ভাষা ও ব্যাখ্যা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো সংগঠিত আন্দোলনকেই এতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ধারা ৩৭(ক)(গ) অনুসারে, "যদি কোনো সরকারি কর্মচারী অন্য কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেন, তাহলে তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা শাস্তিযোগ্য হবেন।"

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাত (৭) কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে। নোটিশে উল্লেখ করতে হবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে শুনানিতে অংশ নিতে চান কি না।

তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। শুধুমাত্র ধারা ৩৬ অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা যাবে। রাষ্ট্রপতির দেওয়া রায়ই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে থাকার সময় রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এটি জারি করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে পরিস্থিতি ‘আশু ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ায় এই অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।

একুশে সংবাদ//র.ন

Link copied!