রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাহিয়া (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এর মধ্য দিয়ে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায়। হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মাহিয়ার শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকাকালেই তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, উত্তরার রাজউক প্রজেক্টের ১৮ নম্বর সেক্টরের ডি ব্লকে বাস করত মাহিয়ার পরিবার। তার বাবা মোহাম্মদ বিশ্বাস পাঁচ বছর আগে মারা যান। মা আফরোজা খাতুন ও ফুপু মিলে তিন মেয়েকে লালনপালন করতেন।
এদিকে, দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি এবং মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
এর আগে একই দিন দুপুরে মারা যায় আরেক দগ্ধ শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান (১৫)। সে স্কুলের ইংলিশ ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন।
মাহতাবের বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া জানান, প্রতিদিনই তিনি ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন। সোমবারও স্কুলে নিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মাহতাব। সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা হলেও পরিবার নিয়ে উত্তরায় থাকত।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে