রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার রেলওয়ের জমিতে নির্মিত একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপ সরানো নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, পূজার আয়োজনকারীরা পূজা শেষ হওয়ার পর মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তা মানেননি।
উপদেষ্টা বলেন, "গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি পূর্বানুমতি ছাড়াই রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ নির্মাণ করেন। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় পূজা চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও, শর্ত ছিল পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নিতে হবে। আয়োজকরা সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও পূজা শেষ হওয়ার পর তা বাস্তবায়ন করেননি।"
তিনি আরও বলেন, "বরং তারা উল্টো সেখানে স্থায়ীভাবে মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। বারবার সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তা উপেক্ষা করা হয়।"
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রেলওয়ের নিজস্ব জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “প্রথম ধাপে শতাধিক দোকান, রাজনৈতিক দলের অফিস, কাঁচাবাজার এবং সবশেষে অস্থায়ী মণ্ডপটি অপসারণ করা হয়। মণ্ডপে থাকা প্রতিমা যথাযথ মর্যাদায় বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, জনস্বার্থে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত রাখার এই প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন ভুল তথ্য ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি না করেন, সেজন্য সবার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে