আগুন লাগার ১১ দিন পর সচিবালয় অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবনটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
সচিবালয়ের নয় তলা ভবনের পুড়ে যাওয়া চারটি তলা ছাড়া বাকি পাঁচটি তলায় অফিস কার্যক্রম শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আগুন লাগার পর থেকে উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া অন্য কারও গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
আগুন লাগার পর থেকে ৭ নম্বর ভবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে। তবে রোববার ভবনটিতে সবাই প্রবেশ করতে পারছেন।
এর আগে, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট সেখানে পৌঁছায়। প্রায় দশ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়।
আগুনে সাত নম্বর ভবনের ৬, ৭, ৮ এবং ৯ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যেখানে অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের পর, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনভর সচিবালয়ের অধিকাংশ ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে এলেও দপ্তরে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যান। ফলে, সচিবালয়ের নিয়মিত কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে।
একুশে সংবাদ/এনএস



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

