অন্যান্য আন্দোলনের মতো এবারের (জুলাই অভ্যুত্থান) আন্দোলনও ছিনতাই হলে দেশকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা করেন তিনি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুপারিশ দেয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করতে পারে। নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুপারিশ দেয়া হবে। সরকার নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। এরপর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও সুফল পায়নি জনগণ। এর অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আমাদের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক হতে হবে। এবার রাজনৈতিক দলগুলো না বুঝলে বা পরিবর্তন না করলে সেটা ট্র্যাডেজি। এবারও আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেলে চরম মূল্য দিতে হবে দেশকে।’
সেমিনারে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি)-এর একটি জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ৯ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট ১ হাজার ৮৬৯ জনের ওপর এ জরিপ করা হয়। এতে দেখা যায়, ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার সমর্থন করেন। ৪৬ শতাংশ রায় দেয় সংবিধান সংস্কার এবং ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান নতুন করে তৈরির পক্ষে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ