জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুকে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় সংসদ থেকে নিয়মবহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
এ সময় নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে কাজী তৌহিদুজ্জামান রাজু বলেন, ‘অনির্বাচিত সংসদের অবৈধ স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অপসারণের দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। তারা দুর্নীতিবাজ। স্পিকারের আশপাশে যত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে সবই দুর্নীতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। তাদের লুটপাটের কারণে সংসদ এখন দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে।’
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, স্পিকার অবৈধভাবে অসংখ্য নিয়োগ দিয়েছেন। অবৈধভাবে ঠিকাদার দিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তার সঙ্গে অবৈধভাবে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনেককে তারা চাকরি দিয়েছেন।
তারা এখন উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে চলে গেছেন। তাদের চাকরির কোনো ভিত্তি নেই। অথচ নিময়তান্ত্রিকভাবে চাকরি পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংসদ সচিবালয় থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে পলাতক স্পিকার ও তার সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :