প্রতিবছরই বাজেট পেশ করতে অর্থমন্ত্রী একটি লাল ব্রিফকেস নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন। কেন এই ব্রিফকেস, আর এর রঙ লাল কেন? কীভাবে এলো এই ব্রিফকেস রীতি, কী কী থাকে এই ব্রিফকেসে, এসব নিয়ে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর ইতিহাস।
ব্রিফকেসের যাত্রাটা শুরু হয় উনিশ শতকে যুক্তরাজ্যে। ১৮৬০ সালে ব্রিটেনের বাজেটপ্রধান উইলিয়াম ই গ্ল্যাডস্টোন লাল একটি স্যুটকেসে করে বাজেট-সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সরকারের আমলেই এই ব্রিফকেস ব্যবহার হয়।
‘বাজেট’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘ব্যুজেট (বোগেট)’ থেকে। ব্যুজেটের অর্থ হলো, থলে বা ব্যাগ। আগের সময়ে থলেতে ভরে দেশের আয়-ব্যয়ের হিসাব আইনসভা বা সংসদে আনা হতো বলে একে ‘বাজেট’ নামে অভিহিত করা হয়।
ব্রিফকেসের ব্যবহার প্রসঙ্গে আকবর আলি খানের ‘বাংলাদেশে বাজেট : অর্থনীতি ও রাজনীতি’ বইয়ে ল্লেখ রয়েছে যে, শিল্পবিপ্লবের পর ইংল্যান্ডের অর্থনীতি অনেক বড় হয়ে যায়। বাজেটবিষয়ক প্রস্তাবগুলো শুধু একটা মানিব্যাগে সংকুলান করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে জায়গা পায় ব্রিফকেস রীতি। তবে ব্রিফকেস ব্যবহারের আরেকটি কারণ হলো বাজেটে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা।
বরাবরের মতো এ বছরও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করতে লাল ব্রিফকেস হাতে সংসদে পৌঁছেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম বাজেট।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা; যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্যা ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :