‘ধান উৎপাদনে গিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। এর মাধ্যমে শুধু কার্বন নিঃসরণ কমানোই নয়, পানির ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পথও সুগম হবে। কার্বন নি:সরণ কমাতে পারলে আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিং এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে।’
বুধবার ১ মে রাজধানীর পরীবাগে বাসভবনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও সিসকোর প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এশিয়ান ডেপেলপমেন্ট ব্যাংক, সিসকো দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে সমন্বয়ের মাধ্যমে পাইলট প্রকল্প শুরুর কথা জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় পানির সংকট নিরসন করা গেলে এবং কার্বন নি:সরণ কমাতে পারলে তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন করা হবে। তাদেরকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি হ্রাস এবং ডিকার্বনাইজেশনের প্রভাবের মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার সময় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কার্বন-হ্রাসকারী স্মার্ট কৃষি কৌশল বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার এবং কৃষকদের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি একটি সবুজ, আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর বাংলাদেশের আবাসিক মিশনের প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকাশি ইয়ামানো, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেব নাথ এবং সিসকোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অফিসের টেক লিড অফ বাংলাদেশ দীনেশ পাল সিং প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/ এসএডি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

