AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বেতন-বোনাস পরিশোধে ঝুঁকিতে ৪১৬ কারখানা


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৮:০৭ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৪
বেতন-বোনাস পরিশোধে ঝুঁকিতে ৪১৬ কারখানা

‘আসন্ন ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ৪১৬টি শিল্প কারখানা। এর অর্ধেকের বেশি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ‍‍`র সদস্য তৈরি পোশাক কারখানা। আর্থিক সংকট, ক্রয়াদেশ না থাকাসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে কারখানাগুলো। শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া, গ্যাস সংকটসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণে চাপে আছে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প। যার প্রভাব পড়ছে শ্রমিকের বেতন ভাতা পরিশোধে। মার্চ মাস শেষ হতে চললেও এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি অনেক কারখানা। এর ওপর যুক্ত হচ্ছে ঈদ বোনাস। সংকট আছে অন্য খাতের কারখানায়ও।

শিল্প পুলিশের হিসাবে, ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ৪১৬টি। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ১৭১টি, বিকেএমইএর ৭১টি, বিটিএমএর ২৯, বেপজার ১৩ এবং এসবের বাইরে ১৩২টি। ৩ হাজার ৬০০ কারখানার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিল্প পুলিশ।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সংকট খুব বেশি। নানা সংকটে আমাদের শিল্প এখন আবদ্ধ। ব্যাংকের সঙ্গে নানা রকম সংকট, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অর্ডার কম, রপ্তানি হয়েছে কিন্তু পেমেন্ট এখনো করেনি। এরকম নানা সংকট রয়েছে। তারপরে এদিকে আমাদের সবকিছুর দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে তারপরেও আমরা গ্যাস ঠিক মত পাই না।’  

বিজিএমইএর পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘২০২৪ আমাদের জন্য অনেক কঠিন একটি বছর। এটি অনেকেই হয়ত দেখতে পাচ্ছেন না। অনেক ভালো ফ্যাক্টরির মালিকও কিন্তু সাফার করছেন। এটা হয়ত ফ্রন্টলাইনে বলছে না। চেষ্টা করছে তার মতো করে সমাধান করতে। কোনোভাবেই একটি সুস্থ্য ফ্যাক্টরি মালিক কিন্তু বেতন বা বোনাস বাকি রাখে না।’  

প্রতিবছর দেখা যায়, মাঝারি ও ছোট কারখানাগুলোতে বেতন ভাতা নিয়ে সমস্যা হয়। এবার অনেক বড় কারখানাও ঝুঁকিতে পড়েছে। বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সমস্যা সমাধানে মালিক সংগঠনগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায় পুলিশ। পাশাপাশি কারখানায় নিজেদের তদারকি বাড়ানোর কথা জানান কর্মকর্তারা।

শিল্প পুলিশ প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বোনাস প্রত্যেকটি শ্রমিকই যেন মাসের শুরুতে পায়, এটা প্রত্যাশা করব মালিক যারা আছেন তাদের কাছে। আর ঈদের ছুটির আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যে সিদ্ধান্ত, প্রত্যেক শ্রমিক যেন বেতন নিয়ে যেতে পারে, এই ব্যবস্থা মালিক সংগঠনের যারা আছেন তারা করবেন।’

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান আরও বলেন, মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে ঈদের বোনাস যেন এপ্রিলের শুরুতে দেয়া হয়। ঈদের ছুটির আগেই যেন মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়। মালিক ও শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ঈদের ছুটি যেন পর্যায়ক্রমে দেয়া হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে— এ বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঈদের আগে অনেক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। এটির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবেব ইন্ডাস্ট্রিয়াল তিনি বলেন, মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো অসমর্থ হওয়ার কারণে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসে। এসব ক্ষেত্রে বিএজএমঅইএ ও বিএকএমঅইএ পুলিশকে সহয়তা করে। অনেক ক্ষেত্রে এক কারখানায় যন্ত্রপাতি অন্য কারখানা মালিক কিনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়েছে।

শ্রমিকদের যাতে কেউ উস্কানি না দেয়, সে ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানোর কথাও জানায় শিল্প পুলিশ।


একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!