গায়ে ছিল নতুন গেঞ্জি ও পাজামা। পায়ে গোলাপি রঙের মোজা। মাথায় বাঁধা ঝুটি। ফুটফুটে এক শিশু। দেখে বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে বেইলি রোডে এসেছিল। কিন্তু সে এখন লাশ হয়ে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের মেঝেতে। তার পাশেই পড়ে আছে আরও এক নারীর মরদেহ।
বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত হয়েছেন তারা। নিহত শিশুটির মরদেহ বুঝে নিতে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আসেনি কেউ। ফলে পরিচয়ও মেলেনি। একই অবস্থা ওই নারীর। তারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে হতে পারেন। তবে এটি নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ।
জানা যায়, শিশুটির শরীরের কোনো অংশ পুড়েনি। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এছাড়া পাশে থাকা নারীর মরদেহও পোড়েনি। দুজনের মুখই কালচে হয়ে আছে।
জানতে চাইলে মর্গের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো নয়। এখন পর্যন্ত ওই শিশুর কোনো স্বজন আসেনি। আমরা অজ্ঞাত হিসেবেই মরদেহটিকে রেখেছি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :