প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকার উৎখাতে আন্দোলনকারীদের ভূমিকা থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হয়। যারা সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলনকারী তাদের হাত রয়েছে এগুলোর পেছনে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা দেয়। পরে দেখা গেল বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এদেরকে কী করা উচিত, আপনারাই বলেন। এদের ধরে গণধোলাই দেওয়া উচিত।
সরকার প্রধান বলেন, সরকার কিছু বললে মানুষ বলবে, সরকার এসব করেছে। তাই জনগণ যদি এগুলোর প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না।
তিনদিনের জার্মানি সফর নিয়ে জাতিকে জানাতে আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।
জার্মানি সফর নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, এবারের মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বড় শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আঞ্চলিক সংঘাত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তা, অভিবাসন, সাপ্লাই চেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মহামারি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মার্চের মধ্যে দুর্ভিক্ষের ষড়যন্ত্র ছিল এবং আছে। নির্বাচন যেন না নয় তা নিয়েও ষড়যন্ত্র ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল আন্দোলন চালিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে।
যারা আন্দোলনকারী জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোতে তাদেরও একটা ভূমিকা আছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করেননি, কারণ তারা জানতেন আমি জিতব। যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করতে চায় তাদের অবশ্য মন খারাপ কারণ একটি দেশের মত সরকার গঠনে এখানে কোনো সমস্যা হয়নি।
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের বাইরে এটিই প্রথম সরকারি সফর প্রধানমন্ত্রীর। জার্মানির মিউনিখে ৩ দিনের সফর শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

