AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আরও ১০৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯:৫৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আরও ১০৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ

তৃতীয় ধাপে আরও ১০৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে তিন দফায় ৪৪৩ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করলো সরকার। এদের মধ্যে শিক্ষক, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, লেখক, চাকরিজীবী, প্রকৌশলী, নাট্যকার, সাংবাদিক, সংগীত শিল্পী এবং সংস্কৃতিকর্মী রয়েছেন।

গেজেটে বলা হয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা অনুযায়ী এদের তালিকা প্রকাশ করা হলো।

৬ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় নতুন করে ১০৮ জনের নাম শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় তালিকায় ১৪৩ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ণের জন্য ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি নির্ধারিত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে সকল সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক সঙ্গীত ও শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কমিটির প্রথম সভায় প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১৯৭২ সালে এক হাজার ৭০ জন শহীদের তালিকা, পরবর্তী সময়ে ডাক বিভাগ ১৫২ জন শহীদের ডাকটিকিট প্রকাশ করে সেই তালিকাও অনুমোদন দেওয়া হয় ওই সভায়।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে, তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়। তখন তারা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে অঙ্কুরেই দুর্বল করে দিতে এক হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তাদের বাসা থেকে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। বন্দি অবস্থাতেও বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে হত্যা করা হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি। কারো কারো লাশের হসিদই মেলেনি। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

 

Shwapno
Link copied!