মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মিয়ানমার সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও নতুন করে কোনো রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক আছে এবং মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। আমরা আশা করবো সেখান থেকে কোনও মর্টারশেল এখানে আসবে না। আমরা সতর্ক আছি।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সীমান্তের এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
তারা সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন। ভারী মর্টারশেলের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। আতঙ্কে থাকার কথা বলেছেন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও।
রোববার ওপার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত ৫টি মর্টারশেল ছিটকে আসার বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
মর্টারশেল উড়ে আসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি-না, এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করব যে, সেখান থেকে কোনো মর্টারশেল আমাদের দেশে আসবে না। তবে আমরা সতর্ক আছি এ ব্যাপারে।
আবারও সংঘাতের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের কোনো শঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এখনও কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি।
উল্লেখ্য, দেশটিতে সংঘাতের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্টের পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস।
এদিকে, কানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা খতিয়ে দেখতে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা