দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ এবং প্রচারণা শুরু হলেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন না মন্ত্রিরা। তবে নির্বাচনি সরকারের মন্ত্রিসভা ছোটো করার পরিকল্পনা নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মন্ত্রীরা শুধু রুটিন ওয়ার্ক ও দৈনন্দিন কাজ করবেন, যাতে সরকার সচল থাকে।
এমন ইঙ্গিত মিললো প্রধানমন্ত্রীর তরফে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু হলে মন্ত্রিরা আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং ভোট সাত জানুয়ারি ভোট গ্রহণ এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো নির্বাচনি সরকারের যাত্রা।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও নির্বাচন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। এর মধ্যে একবার নির্বাচনি সরকারের মন্ত্রিসভা ছোট করা হয়েছিল, দেখা গিয়েছিল নতুন মুখও।
এবারও কি নির্বাচনি সরকারে কোনো পরিবর্তন আসছে? প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, সে সুযোগ কম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আকার ছোট করলে দেখা যায়, অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয় না। কাজগুলো বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। ১৪-তে আমি কিছু মন্ত্রী অন্যান্য দল থেকে নিয়োগ করেছিলাম, এরপর ১৮-তে সেই পদ্ধতি করি নাই, যেটা অন্যান্য দেশে হয়-এইবারও সেভাবে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে আমাদের রুটিন ওয়ার্ক দায়িত্ব পালন, দৈনন্দিন কাজকর্ম করব, যাতে সরকার অচল হয়ে না যায়, সেটা আমরা করব, সেভাবে চলবে।
তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। এরপর নির্বাচনের প্রচারে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা, সরকারি কোন সুযোগ পাবেন না এবং গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরপিও অনুযায়ী, যখন মনোনয়নপত্র দাখিল হবে, তখন থেকে আর সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা মন্ত্রীরা ব্যবহার করতে পারবে না, পতাকা বা কোনো সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে না। তখন একজন প্রার্থী হিসেবেই তাদেরকে ভোট চাইতে হবে।
২০১৮ সালের মতো এবারও নিজের জন্য আলাদা কার্যালয়ের কথা জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেও যখন প্রার্থী হব, তখন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করব না। আমি আমার অফিস আলাদা, যেমন গতবারও করেছিলাম ৫ নম্বরে, এবার আলাদা একটা অফিসের ব্যবস্থা করেছি।
তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :