AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নারিতায় বিমানের ‘গাঙচিলকে’ জল কামান অভ্যর্থনা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:১৮ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
নারিতায় বিমানের ‘গাঙচিলকে’ জল কামান অভ্যর্থনা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর জাপানের নারিতার মাটি স্পর্শ করলো বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ।

 

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টায় নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার বোয়িং-৭৮৭ ‘গাঙচিল’ অবতরণ করে। এসময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটিকে জল কামানের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

 

এভিয়েশন সেক্টরে জল কামান অভ্যর্থনা একটি ঐতিহ্যবাহী শিষ্টাচার। নতুন এয়ারলাইন্সকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উভয় পাশ থেকে জলকামান দিয়ে পানির স্পাউটিং করা হয়।

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম. মাহবুব আলীর নেতৃত্বে বিমানের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে স্বাগত জানান নারিতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা।

 

লাউঞ্জে এক স্বাগত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, জাপানের সাথে বিমানের সরাসরি সংযোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক টোকিও সফরে দুই বন্ধু প্রতীম দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার পাশাপাশি সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ককে মূল্য দেবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। কারণ, সরাসরি সংযোগ দুই দেশের মধ্যে, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে।

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও বাড়াবে এবং জাপানি পর্যটকদের বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোতে আকৃষ্ট করবে।

 

এম. মাহবুব আলী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর যাত্রীদের আকর্ষণ করতে নতুন রুটটিকে লাভজনক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

বিমান বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও শফিউল আজিম বলেন, নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতিমধ্যেই নারিতা রুটে ব্যাগেজের বেশি ওজনসহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে।

 

বিমান প্রধান বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য বাহকের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল এবং কানাডায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যান্য এয়ারলাইনস ইন্টারলিংকিং বা কোড শেয়ারিংয়ের সাথে অনুসন্ধান করছি যাতে আমরা আমাদের যাত্রীদের জাপানের বাইরে ৩৬০ ডিগ্রি এয়ারলাইনের মতো বিভিন্ন রুট অফার করতে পারি।

 

বর্তমানে বিমান কোড শেয়ারিংয়ের জন্য জাপান এয়ারলাইন্স লিমিটেড (জেএএল), অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ এবং এয়ার কানাডার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে বিমান চারটি গন্তব্য- লস অ্যাঙ্গেলস, ভ্যাঙ্কুভার, সিডনি এবং সিউলে পৌঁছানোর কাজ করছে।

 

প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও প্রায় ৪১ হাজার ভারতীয় এবং ১ লাখ ৪০ হাজার নেপালি নাগরিক জাপানে বসবাস করছেন।

 

জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত জাপানে ২০ হাজার ৯৫৪ জন বাংলাদেশি বসবাস করছেন।

 

ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিমান সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার এবং নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট ছাড়বে।

 

জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি ১০টি নতুন বিমান কেনার জন্য এয়ারবাসের সাথে আলোচনা করছে। বর্তমানে বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দু’টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০ বিমান।

 

বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ১৯৮১ সালে সাময়িক বিরতির পর তা আবার চালু হয়। সে সময় টোকিও বিমানবন্দরের পরিবর্তে ঢাকা-নারিতা গন্তব্যে চলতো ফ্লাইট। কিন্তু ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৬ সালে এই গন্তব্যে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বিমান।

 

ঢাকা থেকে নারিতা রুটের সর্বনিম্ন একমুখী ভাড়া শুরু হবে ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা থেকে এবং ফিরতি টিকিটসহ সর্বনিম্ন মূল্য জনপ্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা।

 

একুশে সংবাদ/ন.প/জাহা

Link copied!