AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১২ ঘন্টার সিডিউল বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:১৭ পিএম, ৯ জুলাই, ২০২২
১২ ঘন্টার সিডিউল বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গ


আগামীকাল দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজাহা। সড়ক- মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘরমুখী মানুষদের।  রাস্তায় নামা বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে যারা দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছেন তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও উত্তরের মানুষের কপালে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। গত কয়কদিন ধরে উত্তরবঙ্গের সড়কে যানজটের পাশাপাশি ট্রেনেও ভোগান্তিও রয়েছে।

উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন দ্রুত চলে গেলেও আমাদের কপালে রয়েছে ভোগান্তি। রাত ১০টার আগে স্টেশনে এসে সারারাত বসে কাটিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। স্টেশনমাস্টার প্রথমে বলেছিলেন সকাল ৬টায়, তারপর ৯টায় কিন্তু ৯টার পরও ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ আসেনি

ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেলেও শুক্রবার ওই ট্রেন ঢাকাতেই আসেনি। শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে আসে ট্রেনটি। শেষে বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ১২ ঘণ্টার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের হাজারো যাত্রীর।


একই অবস্থা ছিল দ্রুতযান এক্সপ্রেসেরও। এই ট্রেন রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ সকাল ৬টায় ছেড়ে গেছে। এরপর ‘একতা এক্সপ্রেস’ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকাতেই আসে সকাল সাড়ে ১০টায়।

তিন বছর আগে দেশের দীর্ঘতম পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথে চালু হয় বিরতিহীন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। উদ্বোধনের দিন স্থানীয়দের ব্যাপক উল্লাস করতে দেখা গেলেও তিন বছর পর এসে ঈদযাত্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, রাত পৌনে ১১টার ট্রেন সকাল ১০টায় না আসলে ঈদের নামাজ পড়বো কীভাবে। আমাদের ওই স্টেশনে পৌঁছাতেই ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।

তারা বলেন, ৯০০ টাকার টিকিট দুই হাজার টাকায় কেটেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে পরিবারের আটজন সদস্য নিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে কমলাপুর স্টেশনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, বাসে গেলে হানিফ পরিবহনে আড়াই হাজার টাকা লাগে। আর বিমানে গেলে তো আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই খরচ মেটাবো। যানজটের কারণে বাসে যায়নি কিন্তু ট্রেনের শিডিউল কী অবস্থা হলো। আমরা জানতে পেরেছি সিরাজগঞ্জে ট্রেনের ছাদে বেশি যাত্রীর কারণে সমস্যা হয়েছিল কিন্তু কেন এত বেশি মানুষ ট্রেনে উঠতে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

Link copied!