পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয়িত অর্থ ২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে :সেতুমন্ত্রী

আগামী ২০৫৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে সেতুর জন্য ব্যয়িত অর্থ উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসন-৩১ দলের সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলী।

তিনি জানান, সেতু থেকে আদায়কৃত টোল হতে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকার প্রদত্ত সমুদয় ঋণ পরিশোধ কর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১ ) এর প্রশ্নের জবাবে সেতু মন্ত্রী জানান, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দুইটি সেতু হতে টোল আদায় করা হয়ে থাকে। সেতু দুইটি হলো যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ধলেশ্বরী নদীর উপর মুক্তারপুর সেতু। উক্ত সেতুসমূহে স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনসমূহের ওজন নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যে সকল ট্রাক ওজন স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে থাকে সে সকল যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য(পাবনা-১)

মো. শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে তিনি   জানান, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অব¯ানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা পাওয়া গেলে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যব¯া গ্রহণ করা হবে।

জাতীয় পার্টির  সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমামের(ময়মনসিংহ ৮) প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, সরকার প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাদপনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ফোরামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এসকল আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের সদস্য হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে অব¯িত বিভিন্ন সড়ক রুট, ‘আঞ্চলিক রুট’ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এ সকল আঞ্চলিক রুটের আওতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সড়ক করিডোর সমূহ যথাযথ মানোন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

একুশে সংবাদ.কম/এস.জ.জা.হা