AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় করতে অভিনব উদ্যোগ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০২:২০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২১
আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় করতে অভিনব উদ্যোগ

ডায়াবেটিস আজ ও বিশ্বব্যাপী অনেক বড় একটি সমস্যা ৷ রোগীদের সাধারণত সারা জীবন ধরে ঔষুধ ও ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের উপর নির্ভর করে বেচে থাকতে হয় ৷ কিন্তু প্রথম পর্যায়ে যদি ওজন  কমানো যায় ও কিছু নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলেই এই রোগ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব ৷

জার্মানিতে প্রায় ৬০ লক্ষ ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন৷ প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক মানুষ সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন ৷ নাটকীয় এই পরিস্থিতির মাঝে এক গবেষণা অনুযায়ী, শুধু ওজন কমিয়ে ডায়াবেটিসের মোকাবিলা করা সম্ভব ৷ পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. মাটিয়াস রিডেল বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা একটা মাইলফলক৷ এটা স্পষ্ট, যে  ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব ৷ আগের মতো এই রোগকে আর নিয়তি হিসেবে মেনে নিতে হবে না৷''

ইংল্যান্ডের এই গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, যে রোগ দেখা দেওয়ার পর প্রথম ৬ মাসের মধ্যে শুধু ওজন কমিয়ে সেটি নিরাময় করা সম্ভব৷ তাতে কোনো ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না ৷

এক পরীক্ষার আওতায় খাদ্য তালিকার অত্যন্ত কড়া নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের খেতে দেওয়া হয়েছিল ৷ তিন মাস ধরে তাঁদের দিনে শুধু ৯০০ ক্যালোরি পরিমাণ নিউট্রিশন শেক খেতে হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন ৷ বেশ কিছু ব্যায়ামও করতে হয়েছে ৷ তার ফল ছিল বেশ চমকপ্রদ ৷

যারা ৭ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজন কমাতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি ডায়াবেটিস ট্যাবলেট ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ যারা ১৫ কিলো ওজন কমাতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছেন ৷ ড. মাটিয়াস রিডেল এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই গবেষণা ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে ৷ ডাক্তার ও রোগীদের নতুন করে ভাবতে হবে ৷ সারা জীবন ধরে ট্যাবলেট ও ইনসুলিন গ্রহণ না করেও রোগ নিরাময় সম্ভব ৷''

ডিয়র্ক ফন গ্রুবে নিজের ওজন কমিয়ে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের উপর নির্ভরতা কাটাতে পেরেছেন ৷ আগে তিনি সব সময়ে কিছু না কিছু খেয়ে যেতেন ৷ প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও তার মাঝে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ৷ এভাবে তিনি মোটা হতে হতে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন৷ ড. মাটিয়াস রিডেল এই প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘শরীরের ইন্দ্রিয়গুলি ও পেটে মেদের আধিক্যই ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ৷ যত বেশি চর্বি, তত বেশি  ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় ৷ ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা যত বাড়ে, তত বেশি মেদ জমা হয় ৷ এই দুষ্টচক্র অনেক মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে৷ তাই সেই চক্র ভেঙে দিতে হবে ৷''

শরীর কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে পরিণত করে ৷ প্যানক্রিয়া বা অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদন করে, যা রক্ত থেকে শর্করা শরীরের কোষে পাঠায়৷ এভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে ৷

ঔষুধ ছাড়া ডায়বেটিসকে দূরে রাখার কিছু উপায় :

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে ওজন কমানো
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে ডায়বেটিস শতকরা ৯০ ভাগ কমানো সম্ভব ৷ যদি সে রোগীর ডায়বেটিসে ভোগার সময়কাল চার বছরের কম হয়ে থাকে ৷ একথা জানান, জার্মান ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার স্টেফান মার্টিন৷

অতিরিক্ত চিনি খেলে কোষগুলি ইনসুলিন প্রতিরোধ করতে শেখে৷ ফলে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে অগ্ন্যাশয়ের উপর বেশি চাপ পড়ে৷ কোনো এক সময় ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় ৷ তখন শর্করা আর রক্ত থেকে কোষের মধ্যে যায় না ৷ সেই শর্করা ভাঙতে তখন ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দিতে হয় ৷ ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ড. ক্র্যোগার বলেন, ‘‘ওজন যত বেশি হবে, ইনসুলিনের প্রভাব তত খারাপ হবে৷ অর্থাৎ আমি ওজন কমানোর চেষ্টা না করলে আমার শরীরের মধ্যের ইনসুলিনের প্রভাবের আরও অবনতি হয় ৷ এমনকি আমি ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিলে তার প্রভাবও খারাপ হয়৷ ফলে সহজেই ওজন বাড়তে থাকে ৷''

ডিয়র্ক ফন গ্রুবে একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলেছিলেন ৷ এভাবে তিনি ২৩ কিলো ওজন কমিয়েছিলেন ৷ ফলে তিনি ওষুধ খাওয়াও অনেক কমাতে পেরেছিলেন ৷ ড. রিডেল তাঁকে মনে করিয়ে দেন, ‘‘যখন আপনি আমাদের কাছে এসেছিলেন, তখন অনেক ইঞ্জেকশন নিতে হতো ৷ আর এখন সামান্য কিছু ট্যাবলেট খেতে হয়৷ এমনটা অব্যাহত থাকলে আরও উন্নতি হবে ৷''

ডিয়র্ক ফন গ্রুবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন ৷ তবে তিনি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্ত ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা হিসেবে পুষ্টি ও ব্যায়ামের উপকারিতা পরখ করার আগেই ডাক্তার ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন লিখে দেন ৷

উলরিকে হাইমেস/এসবি 

ডায়েবেটিস থেকে সাবধান!
হালকা খাবার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডায়েবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ার মূল কারণ, অতিরিক্ত ওজন৷ ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ওজন কমাতে রাতে হালকা খাবার খাওয়া উচিত৷ রাতে ফুল প্লেট ভাত, পাস্তা বা নুডল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ জার্মান পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্রের৷ কারণ রাতে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে তা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷

বাবা-মায়ের বদভ্যাস সন্তানের ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে
অতিরিক্ত ওজন ও ডায়াবেটিস আজকের প্রজন্মের জন্য একটা বড় সমস্যা ৷ কিন্তু এর জন্য কি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারাই দায়ী? নাকি সেই সমস্যা কেউ উত্তরাধিকারসূত্রে জিনের মাধ্যমেও পেতে পারে? জার্মান বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ৷ 
তাদের মতে নিজের খাবার খাওয়া ও চরাচল ঠক রাখলে আর কোন ঝুকি থাকে না । 


একুশে সংবাদ/বর্না

Link copied!