আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে নাম আসা ১৫টি ক্লাব এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না—এমন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর)।
বিসিবি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু থেকেই বিতর্কে ঘেরা। পূর্বে তৃতীয় বাছাই ক্রিকেটের সময় বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে ওঠা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের তালিকায় ভোটার হিসেবে রাখা হয়েছিল। নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতি থাকার সময়ে বিতর্কিত ১৮টি ক্লাব তৃতীয় বিভাগ বাছাই পার হয়েছিল, যদিও তারা লিগে অংশগ্রহণ করেনি। পরে তিনটি ক্লাব আবার তৃতীয় বিভাগে নাম লেখায়, ফলে এদের মধ্যে ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য ছিল।
হাইকোর্টের এই নির্দেশনার ফলে আগামী নির্বাচনে এই ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলররা অংশ নিতে পারবেন না। এদের মধ্যে সাবেক জাতীয় অধিনায়ক তামিম ইকবালের সম্পর্কিত ক্লাবও রয়েছে। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে সক্রিয় ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শুরুতে এই ক্লাবগুলোর কাউন্সিলরশিপ নিয়ে বিতর্ক ছিল। খসড়া ভোটার তালিকায় তাদের রাখা হয়নি, পরে অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তাদের পুনরায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মনোনয়ন গ্রহণ ও বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও আদালতের নির্দেশে এবার তাদের বাদ দিতে হয়েছে।
নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা ১৫টি ক্লাবের নাম হলো: গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব, এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমী, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমী, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমী, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমী, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।
ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমীর কাউন্সিলর ইফতেখার রহমান মিঠুও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। হাইকোর্টের এই নির্দেশনার পর ৬ অক্টোবর নির্ধারিত নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে