একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালাস পাওয়ার একদিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্য দণ্ড বাতিল করে দেন। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে রায় ঘোষণা করেন। এতে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় আজহারুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে আপিল বিভাগ সে রায় বহাল রাখলেও, গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর দ্বিতীয় দফায় আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলেই প্রথমবারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় খালাস পেলেন কোনো আসামি।
রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার দুপুরেই আপিল বিভাগ থেকে স্বাক্ষরিত সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মুক্তির আদেশ জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। বিচারকালীন সময়ে তিনি দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন এবং সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
একুশে সংবাদ / আ.ট/এ.জে