ময়মনসিংহের নান্দাইলে বন্ধুর বাড়ি থেকে রিয়াদ মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের গারুয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিয়াদ একই ইউনিয়নের পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং গারুয়া ভাটুয়াপাড়া গ্রামের নাদিম মিয়ার বন্ধু।
এ ঘটনার পর থেকে নাদিম ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গারুয়া পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার একটি অটোরিকশা চুরি হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদকে আটক করে। পরে আচারগাঁও বিলপাড়ায় সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে একটি সালিশ বৈঠক বসে।
সেখানে রিয়াদ অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করে এবং জানায় যে, এ কাজে নাদিমও জড়িত ছিল। এরপর নাদিমকেও সালিশে ডেকে আনা হয়। তিনিও চুরির কথা স্বীকার করেন।
পরে নাদিমের মা ময়না বেগম একটি মুচলেকা দিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যান। ওই রাতেই রিয়াদ তার বন্ধু নাদিমের বাড়িতে অবস্থান করে।
বুধবার সকালে স্থানীয়রা নাদিমের বাড়ির একটি ঘরে রিয়াদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার পর নাদিম ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
নিহত রিয়াদের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, “রিয়াদ ও নাদিম একসাথে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছি।”
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে