মালয়েশিয়ায় শ্রমখাতে নিয়োজিত অবস্থায় বিদেশি জঙ্গিরা জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তথ্য দিয়েছেন দেশটির পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল।
তিনি জানান, সম্প্রতি কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে উঠে এসেছে—এই জঙ্গিরা ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জন্য শ্রম খাত থেকেই সদস্য সংগ্রহে কাজ করছিলেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন আইজিপি খালিদ। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করে।
খালিদ ইসমাইল জানান, সম্প্রতি জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা সিরিয়া ও বাংলাদেশের আইএস সেলগুলোকে অর্থায়ন করছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকে কারখানা, পেট্রোল স্টেশন এবং নির্মাণ খাতে কর্মরত ছিলেন।
তারা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন এবং হোয়াটসঅ্যাপভিত্তিক একটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫০-২০০ জন।
আইজিপি বলেন, সংগঠনটি সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে বা আইএসের পক্ষে সদস্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। এজন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করত বিভিন্ন চ্যানেলে—টাচ এন গো, বিকাশ ও আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে। সদস্যদের প্রতি বছর ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা দেওয়ার শর্ত থাকত, পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী আরও অর্থ দিতে উৎসাহিত করা হতো।
খালিদ জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ১৫ জনকে নির্বাসনের জন্য অভিবাসন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ১৬ জন এখনো পুলিশের হেফাজতে আছেন। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ২০১২ সালের নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের আওতায়।
তিনি বলেন, “জঙ্গি তৎপরতায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালয়েশিয়াকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”
এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রম খাতে থাকা অন্যান্য বিদেশি শ্রমিকদের গতিবিধিও বাড়তি নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ//ঢা.প//র.ন