গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা হামলায় নিহতের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৯৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলমান হামলায় আরও ৯৩ জন নিহত এবং অন্তত ২৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র। এ নিয়ে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৬৫০ জনে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান হামলায় আহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ ছাড়িয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শন করতে যাওয়া বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গুলিবর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও মার্চে তা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল আবারও পূর্ণমাত্রায় গাজায় আক্রমণ শুরু করে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বোমা বর্ষণ ও স্থল অভিযান উভয়ই বেড়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করলেও কার্যকর হস্তক্ষেপ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে