গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ২৯০ জন। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যেগুলো উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে আবারও পূর্ণমাত্রার হামলা শুরু করেছে। এতে কয়েক হাজার নতুন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে পড়বে।
গাজায় চলমান হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) উভয় জায়গায়ই এই অভিযোগ বিবেচনায় রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী দেশ।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও মানবিক সহায়তা বন্ধে বাধা দেওয়ায় সমালোচনা করছে পশ্চিমা দেশগুলোও। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সংসদে বলেন, “এই হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অতিরঞ্জিত। আমরা যুদ্ধবিরতির পক্ষে।”
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে