মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প পরবর্তী ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সামরিক জান্তা বাহিনী একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অন্তত ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে ২০ জনই শিশু এবং দুজন শিক্ষক। মর্মান্তিক এই হামলার ঘটনা ঘটেছে সাগাইং অঞ্চলের ওয়ে থেইন কুইন গ্রামে।
সোমবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল। এলাকাটি ২৮ মার্চের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “আমরা শিশুদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যুদ্ধবিমানটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এসে বোমা ফেলে দেয়। এরপর মুহূর্তেই চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ।”
স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারাও একই সংখ্যক প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনো জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মে মাসজুড়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল, ভূমিকম্পপীড়িত অঞ্চলে মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের জন্য। ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৩,৮০০ মানুষ। কিন্তু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও সাগাইং, কারেন ও চিনসহ বিভিন্ন রাজ্যে সংঘর্ষ ও সরকারি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতান্ত্রিক বাহিনী একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ ঢ.প/এ.জে