ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা প্রায় ঘনীভূত—একদিকে পাল্টাপাল্টি হামলা, অন্যদিকে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি। এমন উত্তপ্ত সময়ে দিল্লি সফর করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, যা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাগচি দিল্লিতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর ভারত-ইরান মৈত্রী চুক্তির ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার অংশ। তবে সময়টা কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আব্বাস আরাগচির এই সফরের আগেই তিনি পাকিস্তান সফর করে ইসলামাবাদে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন তিনি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান একাধিকবার ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগতভাবে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে। তবে কাশ্মীর ইস্যু, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই ও মুসলিম অধিকার প্রশ্নে পাকিস্তানকেই বারবার মৌখিকভাবে সমর্থন করতে দেখা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে তার ভারত সফরকে অনেকেই ভারতের অবস্থান বোঝা ও সমঝোতার রাস্তা খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
এই সফর এমন এক সময় হচ্ছে, যখন কূটনৈতিক ব্যর্থতায় পরিণত হতে পারে যেকোনো সামরিক উত্তেজনা। ইরানের মতো একটি প্রভাবশালী দেশ যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন সংলাপের সেতু গড়ে দিতে পারে, তবে তা শুধু এই অঞ্চলের জন্যই নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :