কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে মুখোমুখি অবস্থান নিচ্ছে দুই দেশ। এমন বাস্তবতায় পাকিস্তানের পাশে সরাসরি দাঁড়িয়েছে চীন, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ফাস্টপোস্টসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীন সম্প্রতি পাকিস্তানকে দিয়েছে পিএল-১৫ নামের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য রাডার-নিয়ন্ত্রিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
২৭ এপ্রিল পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, তিনটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।
এই মিসাইলের গতি ও পাল্লা ভারতের জন্য বড় হুমকি:
পাল্লা: ২০০-৩০০ কিলোমিটার
লক্ষ্যবস্তু: রাডারে ধরা পড়া যেকোনো শত্রু বিমান
নির্মাতা: চীনা রাষ্ট্রীয় সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অফ চায়না
পাকিস্তান ১৩০টির বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী। তিনি জানান,“এসব ক্ষেপণাস্ত্র কেবলমাত্র প্রদর্শন নয়, বাস্তব অভিযানের জন্য প্রস্তুত। এগুলো কোথায় মোতায়েন রয়েছে, তা জানাও যাবে না।”
বিশ্লেষকদের মতে, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান যে অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, তার ৮০ শতাংশই এসেছে চীন থেকে। শুধু অস্ত্র নয়, ভারতের সামরিক গতিবিধি নজরে রাখতে চীনই পাকিস্তানকে গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলাকে ঘিরে ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এখনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি। ইসলামাবাদ বরাবরই দাবি করে আসছে,“আমরা স্বচ্ছ তদন্তে রাজি। দায় চাপিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।”
এই পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত যদি সামরিক অভিযানের পথে এগোয়, তবে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় কঠিন হতে পারে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :