গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে হামাসকে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। এই প্রস্তাব মিসর ও কাতারের মাধ্যমে গত ১৪ এপ্রিল হামাসের কাছে পাঠানো হয়।
ইসরায়েলের প্রস্তাবের মূল শর্তসমূহ:
১. জিম্মি বিনিময়: যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহে হামাস ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল মুক্তি দেবে ১২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
২. সামরিক অবস্থান: ইসরায়েলি সেনারা গাজার সর্বত্র বিচরণ না করে যুদ্ধের আগে যেসব ঘাঁটিতে অবস্থান করেছিল, সেখানেই অবস্থান করবে। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মধ্যে চলাচলের পথ হিসেবে নেতজারিম করিডোর খোলা থাকবে।
৩. ত্রাণ ও পুনর্গঠন: গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ও ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ আবারও শুরু হবে।
৪. স্থায়ী শান্তির আলোচনা: মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করতে আলোচনা শুরু হবে।
৫. হামাসের সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ: হামাসকে সশস্ত্র প্রতিরোধের পথ ত্যাগ করতে হবে এবং গাজায় কতজন জিম্মি জীবিত বা মৃত অবস্থায় রয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে।
হামাসের প্রতিক্রিয়া:
গোষ্ঠীটির মুখপাত্র আবু জুহরি জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের “সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগের” শর্তটি ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে, হামাস একটি পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে বলা হয়— যদি ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়, তবে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। তবে ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি নয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ঘোষণা করেছেন, গাজার কিছু অংশকে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ ঘোষণা করে সেখানে স্থায়ীভাবে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন থাকবে।
মধ্যস্থতাকারীদের প্রত্যাশা:
মিসরের এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “হামাস এখন সময়ের গুরুত্ব বুঝে। আশা করছি, তারা দ্রুত এ প্রস্তাবে সাড়া দেবে।”
একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

