যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ বিষয়ে চুক্তিগুলোর সঙ্গে ইউক্রেন একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ‘কয়েকটি সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চুক্তির শর্তগুলোতে সম্মত হয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ফলাফল।’ এর বেশি বিস্তারিত কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা। বিবিসি ওই কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করেনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা দাবি করেছিল, তা থেকে তারা সরে এসেছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। অথচ এটিই ইউক্রেনের মূল দাবির একটি।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন ট্রাম্প।
ইউক্রেন সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা (ইউক্রেন) খুব সাহসী। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে না পেলে, আর্থিক ও সামরিক সহায়তা না পেলে এই যুদ্ধ খুব অল্প দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেত।’
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হয়তো চলবে। আমাদের একটি চুক্তি করতে হবে। চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।’
এ দিকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সৃষ্টি করা অপতথ্যের জগতে বাস করছেন ট্রাম্প। আমি আমার দেশকে বিক্রি করতে পারি না।’
এর আগে গত রোববার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, এ সপ্তাহেই অবসান হতে পারে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
একুশে সংবাদ/ই.ট//এ.জে