ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা আরও ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন, ৫৪ জন দীর্ঘমেয়াদী সাজা ভোগ করছেন এবং ১১১ জন যুদ্ধের সময় গাজায় আটক হয়েছিলেন।
তাদের মুক্তির বিনিময়ে তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। সংগঠনটি বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে সীমান্ত পেরিয়ে হামলার সময় কিবুটজ বেয়েরি থেকে আটক ওহাদ বেন আমি ও ইলি শরাবি এবং নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে আটক ওর লেভিকে শনিবার মুক্তি দেয়া হবে।
এবারের বন্দিবিনিময় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চতুর্থ বন্দিবিনিময়। এখন পর্যন্ত ১৩ ইসরায়েলি বন্দি এবং পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের বিনিময়ে ৫৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত প্রস্তাবের পর থেকে এই চুক্তি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তিনি ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে নেয়ার এবং গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। তবে আরব রাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি জাতিগত নির্মূলের শামিল হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে