৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে তাইওয়ান। এতে এখন পর্যন্ত ১ জন নিহত ও ১৫ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিসহ প্রতিবেশী দেশ জাপান ও ফিলিপাইনে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।
বুধবারের (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে এই ভূমিকম্পে তাইওয়ানজুড়ে ভবনগুলো কেঁপে ওঠে এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক ভূমিধস। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি পানিতে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। হুয়ালিন থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ৩৫ কিলোমিটার গভীরের ছিল উৎপত্তি স্থল। তাইওয়ানের মনিটরিং এজেন্সি কম্পনের মাত্রা ৭ দশমিক ২ বললেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে ৭ দশমিক ৭।
এদিকে, রাজধানী তাইপেতে কয়েকটি ভবন বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। অনেক এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিস্তারিত জানা যায়নি এখনও। জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ জাপান ও চীনেও। ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর সুনামিও হয় জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপে।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে তাইওয়ানি কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং সেখানকার অধিবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ (জেএমএ) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।
তাইওয়ানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্রের পরিচালক উ চিয়েন ফু জানান, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে দুই হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। তিনি আরও জানান, সমগ্র তাইওয়ানজুড়ে এবং সাগরের অন্যান্য দ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
অন্যদিকে জেএমএ জানিয়েছে, জাপানের ওকিনাওয়া, মিয়াকোজিমা ও ইয়ায়েমা দ্বীপগুলো থেকে লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় ৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সতর্কতার পর ওকিনাওয়া বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের উপকূরীয় এলাকাগুলোতেও উচ্চমাত্রার সুনামি ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের অতিদ্রুত উঁচু এলাকাগুলোতে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ম.ন.প্র/জাহা