১৩৬ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে দুই মাসের জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বিবেচনার জন্য এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কাছে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের
জানা গেছে, দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে নারী-শিশু, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও গুরুতর অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে ইসরায়েল। তারপরের ধাপে সব নারী সেনা ও ৬০ বছরের চেয়ে কম বয়সী বেসামরিক পুরুষ, পুরুষ সেনা ও নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।
এই প্রস্তাবে হামাসের সর্বশেষ দাবি মানা হয়নি। সংগঠনটি এর আগে জানায়, গাজায় স্থায়ী ভাবে আগ্রাসন বন্ধ না হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
সংবাদমাধ্যম একসিওস দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সর্বশেষ এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই প্রস্তাব সাম্প্রতিক সময়ের যেকোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের চেয়ে বেশি ইতিবাচক।
ইসরায়েল প্রস্তাব দিয়েছে, প্রথম ধাপে শিশু, নারী, ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং গুরুতর অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে।
পরবর্তী ধাপে সব নারী সেনা ও ৬০ বছরের চেয়ে কম বয়সী বেসামরিক পুরুষ, পুরুষ সেনা ও নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ইসরায়েলের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জিম্মি মুক্তি শুরুর আগে ইসরায়েল ও হামাসকে আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে জেরুজালেমের কারাগারে বন্দী কতজন ফিলিস্তিনিকে প্রতি ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর অভিযুক্তদের বিষয়ে আলাদা করে বিস্তারিত আলোচনার আয়োজন করা হবে।
প্রস্তাবে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ইসরায়েল স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করবে না এবং ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী মোট ছয় হাজার ফিলিস্তিনিদের সবাইকে মুক্তি দেবে না। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা একসিওসকে জানান, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দিতে তারা রাজি।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা