AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে একযোগে সিবিআই’র অভিযান!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:৩৩ পিএম, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে একযোগে সিবিআই’র অভিযান!

রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, বিধায়কের বাড়ি-সহ অন্তত এক ডজন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। প্রথমেই প্রথমে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। তার পরই জানা যায় যে, রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। কামারহাটি পৌরসভার অন্তর্গত দক্ষিণেশ্বরের যে আবাসনে মদন থাকেন, সেখানেও হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের তিন সদস্যের একটি দল। এ খবর দিয়েছে আনন্দবাজার।

এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে পৌঁছায়। বাড়ির ভিতর ঢুকে তল্লাশি চালানো শুরু করেন তারা। বাইরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। বাড়ির ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

ফিরহাদের বাড়ির সামনে জড়ো হন তার অনুসারিরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অনেকে। ওঠে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-বিরোধী স্লোগান। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই সিবিআই’র এই তল্লাশি অভিযান। বাড়ির বাইরে সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম।

বেলা গড়ালে জানা যায়, শুধু ফিরহাদ-মদনের বাড়িতেই নয়, হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পৌরসভার দুই সাবেক প্রধানের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের দল। তার পর সময় যত এগোতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে সিবিআই-তল্লাশি চলছে, এমন বাড়ির সংখ্যা। দুপুরের দিকে জানা যায়, একসঙ্গে তল্লাশি চলছে কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, হালিশহর, দমদম, উত্তর দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি পুর এলাকায়।

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে প্রচুর সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ানকে নিয়ে কলকাতার নিজাম প্যালেসের দফতর থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। সোজা ঢোকেন ফিরহাদের বাড়িতে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের একটি দল যায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়ির দিকে। আরও কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে রাজ্যের একাধিক পৌরসভার সাবেক এবং বর্তমান প্রতিনিধিদের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই।

সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল যায় হালিশহর পুরসভার সাবেক পৌরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হালিশহরের  পৌরপ্রধান ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তার বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করা হয়।

কাঁচরাপাড়া পৌরসভার সাবেক প্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়। সুদমার এক ঘনিষ্ঠ জানান, সুদমার কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা। সিবিআইয়ের আরও একটি দল পৌঁছয় কৃষ্ণনগর পৌরসভার সাবেক প্রধান অসীম সাহার বাড়িতে।

নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার সাবেক প্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে গিয়েছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।

দমদম পৌরসভার বর্তমান প্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলছে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান। উত্তর দমদমের সাবেক পৌরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল।

কিন্তু কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান? সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় নিয়োগকাণ্ডের তদন্তের জেরে এই তল্লাশি অভিযান।

পৌরসভায় একাধিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর অনিয়ম এবং চাকরির বিনিময়ে টাকার লেনদেন হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আদালতে জানানো হয়। এই মামলার তদন্তে আগেও রাজ্যের একাধিক পৌরসভার কর্মকর্তাদের নথি তলব করা হয়েছিল।

স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত চালাতে গিয়ে পৌরসভায় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র বিষয়টি উঠে আসে। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পরে তাদের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম উঠে আসে।

অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়।

রোববার দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে সিবিআই-হানা নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসাবে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি।

এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে... তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে।’

পাশাপাশি, কুণাল বলেন, ‘এভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।’ অন্যদিকে, বিজেপির বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সংস্থা তাদের কাজ করছে। এখানে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।


একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!