বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে দুই পরাশক্তির চলমান উত্তেজনা মাঝে কূটনৈতিক সফরে চীনে পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর রোববার (১৮ জুন) এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কূটনীতিকের চীন সফর। তাছাড়া ব্লিংকেনের এই সফরটি গত পাঁচ বছরে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফর।
সফরে তাইওয়ান নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কূটনীতিকেরা।
ব্লিংকেনের এই সফরটি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বেলুন উড়ার ঘটনায় সফর স্থগিত করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সেগুলো চীনের পাঠানো গোয়েন্দা বেলুন৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং।
এমন প্রেক্ষিতে বিশ্ববাণিজ্য, অর্থনীতি এবং তাইওয়ান বিষয়ে চলমান উত্তেজনা এই সফরে প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘‘দুই পক্ষের সম্পর্ককে কীভাবে আরো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বজায় রাখা যায় সেই পথ খোঁজার চেষ্টা করবো।”
দুই দিনের সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ব্লিংকেন। তাছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিংয়ের সঙ্গেও ব্লিংকেনের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘‘শক্তিশালী অবস্থানে থেকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার যে ভ্রান্তি যুক্তরাষ্ট্রকে তা ত্যাগ করতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার ভিত্তিতে এবং দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজিক উন্নয়নের যে পার্থক্য সেসকল বিষয়কে সম্মান করে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” (এএফপি, রয়টার্স)
একুশে সংবাদ/ডিড/এসএপি